অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, যাকাত আদায়ে আরও উদ্যোগী হতে হবে। বাংলাদেশে সামর্থবান লোকদের কাছ থেকে যথাযথ পরিমাণ যাকাত আদায় করে সঠিকভাবে বন্টন করা গেলে, দেশের দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম অনেকাংশে ত্বরান্বিত হবে।
তিনি বলেন, ‘যাকাত আদায়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আরও উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। যাকাত ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দারিদ্র দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।’
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা বিভাগীয় ইমাম সম্মেলন ও সর্বোচ্চ যাকাত আদায়কারী কর্মকর্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আশকোনা হজ অফিসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের শ্্েরষ্ঠ শিক্ষক-কেয়ারটেকারদের মাঝেও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ফরিদুল হক খান বলেন, দেশের বিদ্যমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহসহ নানাবিধ সামাজিক সমস্যা সমাধানে ইমামদের নিয়মিত বয়ান করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের উস্কানীমূলক বক্তব্য রাখার বিষয়ে ইমাম সাহেবদের সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করে সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতামূলক আলোচনা করতে হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মু. মুনীম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ফারুক আহাম্মেদ, ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, হজ অফিস ঢাকার পরিচালক মো. সাখাওত হোসাইন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (সমন্বয়) মু. মহিউদ্দিন মজুমদার।
Leave a Reply